ভ্রমণ!! যার নাম শুনলেই মনে খুশির ঢেউ খেলে উঠে। ভ্রমণ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো শেষই থাকেনা আর। কিভাবে যাবে, কি ড্রেস পরবে, কেমন সাজবে, কতদিন থাকবে, প্রভৃতি। কিন্তু এই আনন্দ কি বেশিক্ষণ টিকে? যাত্রাপথেই আনন্দে বাধ সাধে বমির ভাব, শরীর গোলানো। তখন আর কোনো অনুভূতিই থাকেনা। বমির ভাব অনেক কারণেই হতে পারে। বদহজম, গাড়িতে দুর্গন্ধ, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, এবং অন্যের বমি করা দেখেও বমির ভাব হতে পারে। কিন্তু এই বিচ্ছিরি বমির ভাব দূর করতে কিছু উপায় জানা থাকা এবং মেনে চলাই যথেষ্ট। এতে আপনার ভ্রমণটা হবে বেশ আরামদায়ক। আজ আমরা হাউইটে আপনাদেরকে জানাবো গাড়িতে বমির ভাব দূর করার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যথেষ্ট। এতে আপনার ভ্রমণটা হবে বেশ আরামদায়ক। আজ আমরা হাউইটে আপনাদেরকে জানাবো গাড়িতে বমির ভাব দূর করার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপসঃ

১.আদা রস খানঃ দুরবর্তী স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বমির ভাব দূর করতে আদার রস খুবই উপকারী। আদা কুচি কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন। আদার ঝাঁজের সাহায্যে আপনার বমির ভাব দূর হবে। অনেকেই আদার ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না। তারা একটু গরম পানিতে আদা সিদ্ধ করে, সাথে মধু মিশিয়ে রসটি মুখে নিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আপনার মুখ থেকে বমির দুর্গন্ধটি ও দূর হবে।
২.দারুচিনি চিবানঃ যখন তখন দারুচিনি চিবুতে অনেকেই পছন্দ করেন। ভারী খাবার গ্রহণের পর তা সহজে হজম হবার জন্য দারুচিনি কার্যকরী ভূমিকা পালনন করে। অনেক সময় বদহজমের জন্য ও বমির ভাব হতে পারে। তখন এক টুকরো দারুচিনি মুখে নিয়ে চিবান।

৩.লেবুর রস খানঃ একমাত্র টক জাতীয় খাবারই বমির ভাব দূর করতে ম্যাজিকের মত কাজ করে। বমির ভাব হলে আপনি লেবুর রস খেতে পারেন। লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক এসিড বমির ভাব দুরীকরণে যথেষ্ট কার্যকরী। যাদের টক পছন্দ না বা গ্যাস্ট্রিকের খুব সমস্যা তারা ইচ্ছা করলে লেবু পাতার ঘ্রাণ নিতে পারেন। এতে বমি বমি ভাবটা দূর হয়ে যাবে।

৪.পুদিনাপাতার রস খানঃ গ্যাস্ট্রিকজনিত কারণেও অনেক সময় বমির ভাব হতে পারে। এক্ষেত্রে অর্থাৎ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে ও গ্যাস্ট্রিক থেকে সৃষ্ট বমির ভাব দূর করতে পুদিনাপাতার রস দারুণ ভাবে কাজ করে। তাই বমির ভাব শুরু হবার সাথে সাথে কয়েকটি পুদিনাপাতা ধুয়ে মুখে নিয়ে চিবুতে থাকুন।
৫.ভারী খাবার গ্রহণ করবেন নাঃ যাদের বমির সমস্যা তারা গাড়িতে উঠার পুর্বে ভারী খাবার খাবেন না এবং অতিরিক্ত পানি ও পান করবেন না। ভ্রমণ পথ যদি দূরে হয় তাহলে চিপস জাতীয় হালকা কিছু খেয়ে পানি পান করে নিন। অতিরিক্ত সুগন্ধিযুক্ত, ঝাল বা মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে বমির ভাব হবেনা।

৬.বসার দিকে নজর দিনঃ ভ্রমণ পথে আপনার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো বসার জায়গা। তাই প্রথমে আপনাকে সীটের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একদম পিছনের সীটে বসবেন না। এতে ঝাঁকুনি হয় বেশি পরিমাণে। ফলে মাথা ঘুলিয়ে বমি আসার উপক্রম হয়। গাড়ি যেদিকে এগুচ্ছে সেদিকেই মুখ করে বসুন। তার উলটা দিকে বসলে উলটো মশোনের জন্য ও বমির ভাব হতে পারে।

৭.বাহিরের দৃশ্যে দৃষ্টিপাত করুনঃ অনেক সময় দেখা যায় কি, গাড়ির ভিতরে অন্য কোন যাত্রী বমি করলে এবং তার বমির গন্ধে নিজের অবস্থা ও বেগতিক হয়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব গান শুনতে শুনতে জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য উপভোগ করুন।